পাইলস কি, কেন হয়? এর লক্ষণ বা প্রতিকারই বা কি? পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা, পাইলস থেকে কি ক্যান্সার হয়? পাইলস কি আসলেই ভালো হয়? পাইলস হলে কি খাওয়া যায় বা কি খাওয়া যায় না এমন অনেক প্রশ্নই পাইলসে আক্রান্ত রোগীদের মাথায় ঘোরাঘুরি করে। ফলে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে তাদের মনে নানা কৌতুহল জন্মায়। আর এ কৌতুহল দূর করতেই আপনাদের সামনে নিম্নোক্ত তথ্যগুলো নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন জানা যাক….
পাইলস হওয়ার কারণ কি?
পাইলস একটি পরিচিত রোগ। বাংলাদেশে প্রচুর মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। প্রকৃতপক্ষে মলদ্বারের মধ্যে যে রক্ত শিরা থাকে সেটা যখন ফুলে যায় তখন সেখানে একটা ভাসকিউলার কুশন সৃষ্টি হয়।
ফলে মলদ্বারের বাইরের অংশটা ফুলে যায়। কখনো কখনো সেখানে রক্তনালীর প্রেসারে অনেক সময় রক্ত বের হয়ে যায়। নিম্নোক্ত বিভিন্ন কারণে আপনি পাইলসে আক্রান্ত হতে পারেনঃ
➥দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভোগা।
➥অনিয়মিত পায়খানার অভ্যাস (অর্থাৎ দুই দিন বা তিন দিন পর পর পায়খানা হওয়া)।
➥টয়লেটের সময় অতিরিক্ত পরিমাণ চাপ প্রয়োগ করা।
➥অতিরিক্ত ভারী কাজ করা।
➥আঁশ জাতীয় বা সবজি জাতীয় খাবার না খাওয়া।
➥ফাস্টফুড বা অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া।
➥ব্যায়াম না করা।
➥অতিরিক্ত চাপ জনিত সমস্যা।
পাইলস এর লক্ষণ ও প্রতিকার | পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা
যখনই মলদ্বারে রক্তপাত হয় সাধারণত তখনই মানুষ ভেবে নেয় তার পাইলস হয়েছে। তবে বিভিন্ন কারণে মলদ্বারে রক্তপাত হতে পারে। যেমনঃ মলদার চিড়ে যাওয়া, মলদারের আশেপাশে ফোঁড়া হওয়া, ফিস্টুলা হওয়া ইত্যাদি।
পাইলস থেকে কি ক্যান্সার হয়? এটি পুরোপুরি সত্য নয়। তবে আমরা সাধারণত যাকে পাইলস বলি ডাক্তার এবং রোগীদের সমন্বয়ের আলোকে এর কিছু উপসর্গ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে।
পাইলস এর প্রাথমিক লক্ষণ
পাইলসকে সাধারণত ৪ টি পর্যায়ে বিভক্ত করা হয়। এক্ষেত্রে একেকজনের উপর এক একটি পর্যায় লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়।
প্রথম পর্যায়ঃ এক্ষেত্রে ব্যথাবিহীন রক্তপাত হয়ে থাকে এবং সে রক্তটা হয়ে থাকে টকটকে লাল বা তাজা রক্ত। সেটা সাধারণত ফোঁটায় ফোঁটায় বা ফিনকি দিয়ে পড়ে থাকে।
দ্বিতীয় পর্যায়ঃ লক্ষণটা যখন দ্বিতীয় পর্যায়ে চলে যায় তখন অনেক ক্ষেত্রে রক্ত পড়া ছাড়াও একটা গোটার মতো বা ফোলা অংশ মালদার থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে এবং নিজে থেকেই আবার ভিতরে ঢুকে যায়।
তৃতীয় পর্যায়ঃ তৃতীয় পর্যায়ে মাংসের গোটা বা ফোলা অংশ যখন মলদারের বাইরে চলে আসে তখন সেটি আর নিজে নিজে ভিতরে ঢুকে যেতে পারে না। রোগী সাধারণত আঙুল দিয়ে চাপ দিলে তখন সেটা মলদ্বারের ভেতরে ঢুকে যায়।
চতুর্থ পর্যায়ঃ এ অবস্থায় মাংসের গোটা বা ফোলা অংশ বাইরে বেরিয়ে থাকে এবং রোগীরা সাধারণত ব্যথা অনুভব করে থাকে। তাদের জন্য তখন সেটা কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
পাইলস কি ভালো হয়?
আমাদের দেশে অসংখ্য রোগী আছেন যারা মলদ্বারে বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন।
সঠিক সময়ে এবং দ্রুততার সঙ্গে মলদ্বারের চিকিৎসায় পারদর্শী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারলে অল্প সময়ের মধ্যেই এই রোগ থেকে পুরোপুরি নিরাময় পাওয়া সম্ভব।
কিন্তু অধিকাংশ মানুষ লজ্জাবশত হয়ে কিংবা অপচিকিৎসার শিকার হয়ে সঠিক সময়ে ভালো চিকিৎসা নিতে ব্যর্থ হন।
ফলে তখন অপারেশন করা ছাড়া বিকল্প আর কোন ব্যবস্থা থাকে না। এক্ষেত্রে অপারেশন ভালো ভাবে হলে পরবর্তীতে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
তবে সেক্ষেত্রে পাইলসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে এমন খাবার সম্পূর্ণ রূ্পে পরিত্যাগ করতে হবে। সাথে সাথে শারীরিক ব্যায়াম বাড়াতে হবে।
পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা । পাইলস থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
ইসবগুলের ভুসিঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সবচেয়ে বড় ওষুধ হলো ইসুবগুলের ভুসি। আমরা সবাই এটাকে চিনি। কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার এবং সাবধানতা সবার জানা দরকার।
তাই ইসুবগুলের ভুসি কিভাবে খাবেন এবং কখন খাবেন আর কখন খাওয়া উচিত না সেটাও জানা প্রয়োজন।
প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনমতো পানি নিয়ে তাতে ইসুবগুলের ভুসি ভালোভাবে গুলিয়ে নিবেন যাতে শরবতটি পরিষ্কার বা হালকা ঘোলা দেখায়।
বানানোর পর রেখে দেবেন না। সাথে সাথে খেয়ে নিবেন। কেউ কেউ অনেকক্ষণ রেখে দিয়ে তারপরে খান এটা সঠিক ব্যবহার নয়।
এটি সাধারণত দিনে দুইবার খেতে হয়। খাবার খাওয়ার পরে খেলে সবচেয়ে ভালো হয়। ইসুবগুলের ভুসি খেলে দিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করবেন।
অল্প কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় ইসুবগুলের ভুসি খেয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না খাওয়ার ফলে গলনালী এবং অন্ত্রের মুখ আটকে যায়। অবশ্যই এই ঝুঁকি না নেওয়াই ভালো।
সুবহানাল্লাহ কখন বলতে হয় | সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি অর্থ কি ?
কিছু কিছু সময় এই ইসুবগুলের ভুসি খাওয়া যাবেনা। সেটা কখন?
➥ রাতে ঘুমানোর ঠিক আগে খাওয়া যাবে না। তাতে আপনার বৃহদন্ত্র অর্থাৎ শরীরের যেখানে আপনার মল তৈরি হয় সে জায়গার মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এটা একটা ইমারজেন্সি। এমনটা হলে আপনাকে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
➥ যদি পেটে ব্যথা হয়, বমি ভাব বা বমি হয়।
➥ আগে ইসুবগুলের ভুসি খাওয়ার ফলে যদি আপনার শরীরে কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে।
➥ যদি দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে পায়ুপথের মুখে পায়খানা আটকে গেছে এমন হলে।
➥ যদি আপনার পায়খানা বা মলত্যাগের অভ্যাসে হঠাৎ পরিবর্তন হয় এবং সেটা দুই সপ্তাহের বেশি থাকে।
বিঃদ্রঃ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া একটানা অনেক দিন ইসবগুলের ভুসি খাবেন না। এটা কিন্তু একটা ঔষধ।
ডায়রিয়া ছাড়াও এর আরো কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তিন দিন ব্যবহারের পর আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের কোন উন্নতি না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
পাইলস এর ব্যায়াম | পাইলস সারানোর উপায়
বাসায় বসে বসে ঔষধের পাশাপাশি আর কিভাবে পাইলসের চিকিৎসা নিজেই করতে পারেন সে বিষয়ে চলুন জানা যাকঃ
➤ ব্যথা জায়গায় কুসুম গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। বাচ্চাদের গোসল করাই এমন বড় গামলায় কুসুম গরম পানি নিয়ে সেখানে বসতে পারেন।
যে সকল মেয়েরা সদ্য মা হয়েছেন তাদের পাইলসের সমস্যা বেড়ে গেলে তারাও এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। তারা দিনে তিনবার পর্যন্ত এভাবে পানির ছ্যাক দিতে পারবেন।
আর এ সকল মায়েরা কোথাও বসার সময় একটা বালিশ ব্যবহার করে সেটার উপর বসতে পারেন।
➤ একটা প্যাকেটে কিছু বরফ নিয়ে সেটা তোয়ালে বা গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে পায়ুপথের গোটা গুলোর উপরে লাগাতে পারেন।
➤ বিছানায় শুয়ে পা উঁচু করে রাখতে পারেন। তাহলে গোটা গুলোতে রক্ত চলাচল সহজ হবে।
এছাড়া পায়ের নিচে বালিশ নিতে পারেন। এমনকি খাটের পায়ার নিচে কিছু দিয়ে একপাশ উঁচু করে সেদিকে পা দিতে পারেন।
➤ পায়ুপথ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং শুষ্ক রাখবেন। মলত্যাগ করার পর খুব জোর দিয়ে মুছতে যাবেন না। টয়লেট পেপার হালকা ভিজিয়ে তারপর সেটা দিয়ে বুঝতে পারেন।
➤ মলত্যাগ করার সময় খুব জোর দিয়ে চাপ দেওয়া যাবে না।
➤ অনেক লম্বা সময় ধরে মলত্যাগ করবেন না। প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় টয়লেটে সময় অতিবাহিত করবেন না।
➤ পায়খানার চাপ আসলে সেটা আটকে রাখবেন না। পায়খানা আটকে রাখলে দিন দিন সেটা থেকে শুকিয়ে শক্ত হয়ে যায়। তাই চাপ আসলে দেরি না করে বাথরুমে চলে যাবেন।
➤ প্রচুর পরিমাণ পানি পান করবেন এবং প্রচুর পরিমাণ ফাইবার এবং আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া।
➤ নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করবেন। শরীরকে চলমান রাখতে হবে। অর্থাৎ হাঁটাচলা, যোগব্যায়াম ইত্যাদি।
➤ অতিরিক্ত ওজন হলে সেটা কমিয়ে আনা।
পাইলস এর ব্যাথা কমানোর ঔষধ | পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা
ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল খেতে পারেন। প্যারাসিটামল সাধারণত ৫০০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট হিসেবে পাওয়া যায়।
ব্যথা বেশি হলে একসাথে দুইটি ট্যাবলেট অর্থাৎ ১০০০ মিলিগ্রাম এর প্যারাসিটামল একেবারে সেবন করতে পারেন।
পাইলস হলে কিছু কিছু ব্যথা নাশক ঔষধ খাওয়া যাবে না। তার একটি হলো ট্রামাডল।
কারণ এই ওষুধটার একটা কমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। বাজারের প্যারাসিটামলের সাথে ট্রামাডল মেশানো ঔষধ পাওয়া যায় এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
দ্বিতীয়ত হলো আইবুপ্রোফেন। যদি আপনার পাইলস থেকে রক্ত বের হয়। কারণ এই ওষুধটা রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়ায়।
পাইলস এর এলোপ্যাথিক ঔষধ
আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণ পাইলসে আক্রান্ত রোগী দেখা যায়। যার ফলে পাইলসের বিভিন্ন ধরনের এলোপ্যাথিক ওষুধ বাজারে বের হয়েছে।
যেগুলো ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত গ্রহণ করা উচিত নয়। ঔষধ গুলো হলোঃ
☌ নরমানল – Normanal 500mg
☌ ড্যাফলন – Daflon 500mg
☌ পাইলোস্প্রে – Pilospay
☌ পাইলোসল – Pilosol
☌ পাইলোজেন – Pilogen 5mg
☌ অসমোলাক্স – Syrup Osmolax
☌ ডোবেসিল – Dobesil 500mg
পাইলস এর মলম নাম
পাইলস থেকে বাঁচতে বা পাইলসের ব্যথা থেকে নিজেকে দূরে রাখার জন্য কিছু মলম বা ক্রিম আছে যেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
ক্রিম বা মলম গুলো হলোঃ
☌ ডোবেসিল এলডি – Dobesil LD Ointment
☌ পাইলোসল – Pilosol Ointment
☌ ডিকটামনি – Dictamni
পাইলস এর হোমিও ঔষধের নাম
☌ ইস্কিউলাস হিপ – AESCULUS HIP
☌ নাক্স ভমিকা – Nux Vomica
☌ সালফার – Sulphur Homeopathic
☌ কলিনসোনিয়া – Collinsonia
☌ এমোনিয়াম কার্ব – Ammonium Carb
☌ হেমামেলিস – Hamamelis
পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ | পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা
আপনি যদি পাইলস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি কি জানেন আপনার কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে? না জেনে থাকলে জেনে নিন কোন কোন খাবার থেকে আপনার নিজেকে দূরে রাখতে হবে।
➥ গরুর মাংস বা খাসির মাংস যেগুলোতে অতিরিক্ত চর্বি থাকে। বিশেষ করে রেড মিট বা লাল মাংস। এ ধরনের খাবারে খুবই কম পরিমাণ ফাইবার থাকে। যে কারণে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য বেড়ে যেতে পারে।
➥ তেলেভাজা খাবার বা ফাস্টফুড।
➥ পাইলসের সমস্যা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে আপনাকে চা বা কফি থেকে দূরে থাকতে হবে। তবে প্রয়োজনে গ্রিন টি খেতে পারেন।
➥ অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার আপনার হজম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করতে পারে।
পাইলস হলে কি কি খাবার খেতে হবে?
➥ ফাইবার আছে এমন শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। যেমনঃ ঢেঁড়স, কাঁচা পেঁপে, কচুর লতি, শসা, লাউ, গাজর।
➥ প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাবেন।
➥ ইসুবগুলের ভুসি ভিজিয়ে সাথে সাথে খেয়ে নিতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
➥ পাকা কলা আপনার পেট কে পরিষ্কার করে। যা আপনার পাইলসের জন্য উপকারে আসতে পারে।
➥ মুলার সালাদ, মুলার রস পাইলসের বেশ উপকারে আসে।
পাইলস থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু | পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা
পাইলস থেকে কি ক্যান্সার হয়? না, পাইলস থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। অনেক সময় মলদ্বারে অন্য কোন ইনফেকশন বা টিউমার হয়ে থাকে। যেটাকে অনেকে পাইলস ভেবে ধীরে সুস্থে চিকিৎসা নেন।
যেটা কখনোই সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। পাইলস বা অন্য কোন ইনফেকশনে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকবে না বললেই চলে।
পাইলস অপারেশন করতে কত টাকা লাগে?
লংগো অপারেশন একটি ব্যথা মুক্ত প্রক্রিয়া। পাইলস নিরাময়ে লংগো অপারেশন একটি আধুনিক এবং কার্যকারী চিকিৎসা।
এর মাধ্যমে মলদ্বারের বাইরে নয় বরং মলদ্বারের অনেক ভেতরে সামান্য কাটা-ছেড়া করে একটি চক্রাকার মাংসপিণ্ড কেটে নিয়ে আসে।
কেটে নিয়ে আসার সময় এ যন্ত্রটি আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেলাই করেও দিয়ে আসে। আর মলদ্বারের বাইরে কোন কাটা-ছেড়া না করায় অপারেশন পরবর্তীতে একেবারে ব্যথা থাকে না বললেই চলে।
এই অপারেশন করার সময় কোন রক্তপাত হয় না। ফলে রোগী একদিন বিশ্রাম নেওয়ার পর স্বাভাবিক হাঁটাচলা করতে পারে।
এক্ষেত্রে টয়লেট করার সময়ও কোন সমস্যা হয় না। এই অপারেশনে খরচ খুব বেশি হয় না। মোটামুটি ২০ থেকে ২২ হাজার টাকার মধ্যে এই অপারেশন সম্পন্ন করে আসা যায় ।